মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ , ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার
  >
বিশেষ দিবস

আজ চৈত্রসংক্রান্তি

নিউজজি ডেস্ক ১৩ এপ্রিল , ২০২৪, ০০:০৭:৪৮

143
  • আজ চৈত্রসংক্রান্তি

ঢাকা: বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্র সংক্রান্তি আজ। চৈত্র মাসের শেষ দিন চৈত্র সংক্রান্তি। আবার বাংলা বর্ষের শেষ দিনও। আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-নতুন বাংলা বর্ষ।
 
আবহমান বাংলার চিরায়ত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে নানা অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন।
 
মনে করা হয়, চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব।
 
চৈত্রসংক্রান্তির দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শাস্ত্র মেনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস করে থাকেন। নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন। এছাড়াও চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে নানা ধরনের মেলা ও উৎসব হয়। হালখাতার জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, সংযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় চৈত্র সংক্রান্তি।
 
চৈত্র সংক্রান্তির প্রধান উৎসব চড়ক। চড়ক গাজন উৎসবের একটি প্রধান অঙ্গ। এ উপলক্ষ্যে গ্রামের শিবতলা থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে অন্য গ্রামের শিবতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। একজন শিব ও একজন গৌরী সেজে নৃত্য করে এবং অন্য ভক্তরা নন্দি, ভৃঙ্গী, ভূত-প্রেত, দৈত্য-দানব সেজে শিব-গৌরীর সঙ্গে নেচে চলে।
 
বর্ষবরণ উপলক্ষে পাহাড়েও বইছে উৎসবের হাওয়া। হিংসা-বিদ্বেষ দূরে থাক শান্ত সবুজ গিরি ছায়ায়, সকল কালিমা মুছে যাক মৈত্রীময় জলধারায়' এ শ্লোগানে তিন পার্বত্য জেলায় শুরু হয়েছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবি। এ উপলক্ষে নানা বর্নিল আয়োজনে পাহাড়ে এখন উৎসবের আমেজ।
 
ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমা তংচঙ্গা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিজু। এ তিনে মিলে বৈসাবি। শুক্রবার নদীর জলে ফুল ভাসানো তথা ফুলবিজুর মাধ্যমে শুরু হয়েছে বৈসাবি।

 

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন