শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ , ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

সেমিস্টার-সেশনের সময় কমানোর চিন্তা ঢাবির

নিউজজি ডেস্ক ২২ এপ্রিল , ২০২১, ০০:২২:৪০

278
  • ফাইল ছবি

ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমনের কারণে সেশনজটের শঙ্কা তৈরি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় খুললে চার মাসে সেমিস্টার এবং আট মাসে সেশন শেষ করার পরিকল্পনা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, সেশনজট কাটিয়ে ওঠার পরিকল্পনার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরপরই আমরা পরীক্ষাগুলো নিয়ে নেব। অল্প সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর ছয়মাসের সেমিস্টার চার মাস এবং বছরভিত্তিক সেশনকে আট মাস করার একটি আলোচনা চলছে। তবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মে মাসের শেষ দিকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সেশনজট কাটানোর সম্ভাব্য উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তার মধ্যে এটি একটি। আগে তো জীবন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। তারপর এসব বিষয় নিয়ে আমরা বসব।

করোনা মহামারির কারণে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। স্বল্প পরিসরে অনলাইন ক্লাস চলমান রাখলেও শিক্ষার্থীদের নানা সীমাবদ্ধতা ও জটিলতা নিরসন করতে ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

অনলাইনে নেওয়া ক্লাসের কার্যকারিতা ও ফলপ্রসূতা নিয়েও অভিযোগ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী। তাছাড়া ডিভাইস না থাকা এবং গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারছে না বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। সব মিলিয়ে সেশনজটের দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরেছে শিক্ষার্থীদের।

চার মাসে সেমিস্টার, আট মাসে এক সেশন শেষ করার পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়ন করা হয়, তবে সেশনজট এবং ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। যদিও সবকিছু নির্ভর করছে কবে নাগাদ করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে তার ওপর।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। এটা যদি বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। তাদের সেশনজটও কমে যাবে। করোনার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা অনেকটা কাটিয়ে উঠতে পারব।

ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনিম হাসান আবির বলেন,  এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সেশনজটের ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটানো সম্ভব। এরইমধ্যেই অনলাইনের মাধ্যমে প্রায় প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের একটি বা দুটি সেমিস্টার শেষ করা হয়েছে। তাই করোনা পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সময়ে সেমিস্টার বা সেশন শেষ করতে খুব বেশি সমস্যা হবে না। তবে এ মুহূর্তে জরুরি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া।

প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী নিগার সুলতানা সুপ্তি বলেন, করোনাকালে এটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কিন্তু উচ্চশিক্ষার মান কতটা বজায় থাকবে সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। যারা উচ্চতর গবেষণার কাজ করবেন কিংবা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাবেন, তাদের ক্ষেত্রে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না সেটিও দেখতে হবে।

মাশফিক আরেফিন নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এটি ভালো পদক্ষেপ। পদক্ষেপ-পদক্ষেপ খেলা অনেক দেখলাম, এখন বাস্তবায়ন চাই৷ হতাশা থেকে মুক্তি চাই।

পাঠকের মন্তব্য

লগইন করুন

ইউজার নেম / ইমেইল
পাসওয়ার্ড
নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন